Harmonium (1976)

জমিদারি প্রথা অবলুপ্তির মুখে। আসছে ব্যবসাদারদের যুগ। এ সময়ে, জমিদার ভূপেন্দ্রকিশোর (অসিতবরণ) তার একমাত্র মা-হারা মেয়ে বিমলার (অরুন্ধতী দেবী) জন্য একটি হারমোনিয়াম কিনে আনলেন। হারমোনিয়ামটি তাদের বাবা-মেয়ের নিঃসঙ্গ জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠল। কিন্তু এ সুখ বেশীদিন সইল না। ভূপেন্দ্রকিশোর হঠাৎ মারা গেলেন। নায়েবদের বংশ পরম্পরার (দেবতোষ ঘোষ, দুর্গাদাস ব্যানার্জি) বুজরুকিতে সব সম্পত্তি নিলামে উঠল। বিমলা পথে এসে দাড়াল। রইল একমাত্র অবলম্বন বাবার আমলের একনিষ্ঠ সেবক বিরজু (কুমার রায়) ও তার সাধারণ আস্তানা। প্রিয় হারমোনিয়ামও বিক্রি হয়ে গেল।

হরেন্দ্রনাথ (কালী ব্যানার্জী) এর ছোট পরিবার। গিন্নি, ছেলে (সন্তু মুখোপাধ্যায়) আর মেয়ে বাসন্তী (সোনালী গুপ্ত)। বাসন্তীর বিয়ের সুবিধে হবে ভেবে হরেনবাবু হারমোনিয়ামটি কিনলেন। গান শেখাতে এ’ল পাশের বাড়ির অশোক (ভীষ্ম গুহ ঠাকুরতা)। তারপর সে পালাল বাসন্তীকে নিয়ে। হরেন আর অশোকের বাবা (সন্তোষ দত্ত) থানার ওসির (ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বারস্থ হলেন। তাদের ছেলে মেয়ে ফিরে এল। হারমোনিয়াম আবার বিক্রি হ’ল।

রতন (সমিত ভঞ্জ) সে হারমোনিয়াম কিনে দিল পতিতালয়ে তার প্রেয়সী শ্যামাকে (আরতি ভট্টাচার্য)। সোনাগাছির সে বাড়ির মাসি (ছায়া দেবী) "হারমোনি’’ পেয়ে আনন্দে আসর বসল তার ঘরে। দু কলি গেয়েও উঠলেন তিনি "ছল করে জল আনতে সখি গেল যমুনায়...” (স্বকন্ঠে ছায়া দেবী)। ওদিকে বাড়ির ছাদে যে তার বিপিন বাবু (কমল মিত্র) তখনও বসা। অন্যদিকে হারাণ (স্বরূপ দত্ত) শ্যামার কাছে ফিরে আসে। এবার সে এখানে লুকিয়ে থাকতে চায়। এই নিয়ে বিরোধে পুলিশ আসে। রতন হারানের ছুরিতে প্রাণ হারায়। আর হারাণ মরে পুলিশের গুলিতে। অভিশপ্ত হারমোনিয়াম বিক্রি করে দেয় শ্যামা।

এবার হারমোনিয়ামটি আসে বিমলার প্রতিবেশী এক আই.এ.এস. অফিসারের (অনিল চট্টোপাধ্যায়) ঘরে । আর বিমলাই সেখানে আসে তার মেয়েকে গান শেখাতে!

A child princess gets a harmonium from her father. Through fate and manager she is orphan, then widow and penniless. The harmonium, sold, changed hand and bringing ill-luck wherever it went. Will they ever meet? Under what circumstances?