রোহিঙ্গা সংকট: মিয়ানমারে গর্ভধারণ, বাংলাদেশে সন্তান জন্মদান, জানে না তাদের ভবিষ্যৎ কী

#BBCBangla
ছয় মাসের গর্ভবতী থাকা অবস্থায় ২৫ দিন পায়ে হেঁটে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে আসেন সাজেদা বেগম। এ সময় কখনও কখনও লুকিয়ে বিশ্রাম নিয়েছেন, আবার হেঁটেছেন।
এই ভাবেই ২০১৭ সালে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন গর্ভের সন্তানকে বাঁচাতে পারবেন না, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে আসার কয়েক মাস পর তার ছেলে সন্তান জন্ম নেয় এবং গর্ভে মাথায় হালকা আঘাতও পেয়েছিলো তার শিশু সন্তান।
এরপরেও সুস্থ ভাবে ক্যাম্পেই বেড়ে উঠছে তার শিশু সন্তান রুহুল। এখন তার বয়স প্রায় পাঁচ বছর।
সাজেদা বেগম জানান, তার ছেলে ক্যাম্পের বাইরের দুনিয়া দেখতে কেমন জানে না। নিজে রাখাইনে থাকতে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়লেও তার সন্তানকে তেমন কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিতে পারছেন না।
ক্যাম্পের ভিতর বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে চলমান স্কুলগুলোতে প্রাথমিক শিক্ষা নিতে পারছে তারা। তবে সন্তানদের ভবিষ্যতে কী হবে, তারা কি সারা জীবন এই ক্যাম্পেই কাটিয়ে দিবে কিনা, এসব নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগেন সাজেদা বেগম।
তিনি বলেন- "আমি তো অবস্থাপন্ন ঘরের মেয়ে ছিলাম, কিন্তু আমার সন্তানেরা বড় হচ্ছে গৃহহীন পরিবেশে। এখানে মাসের তিরিশ দিনই ডাক্তার দেখাতে হয়, কারণ শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। চারপাশে ডেংগুসহ নানান ধরণের রোগের প্রাদুর্ভাব। অথচ মায়ানমারে খোলামেলা পরিবেশে থাকা হত বলে রোগ বালাই কম হতো।"
ক্যাম্পের ভিতর সন্তান জন্মদান এবং বেড়ে উঠা নিয়ে একজন মায়ের অভিজ্ঞতা কেমন - তা জানতে সাজেদা বেগমের সাথে কথা বলেছিলেন বিবিসির শাহনেওয়াজ রকি। আরও জানতে দেখুন ভিডিওটি।

*******************************************
বিবিসি নিউজ বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে আপনাকে স্বাগতম।
এখানে আপনি দেখতে পাবেন দেশ ও দেশের বাইরের সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ ও বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন, বিবিসি নিউজ বাংলার টিভি অনুষ্ঠান প্রবাহ, ক্লিক এবং বাংলাদেশ ট্রেন্ডিং-এর সকল পর্ব।
নিয়মিত ভিডিও আপডেট পেতে এবং অনুষ্ঠান দেখতে সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না!

আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন:
ওয়েবসাইট: https://www.bbc.co.uk/bengali​​​
ফেসবুক: https://facebook.com/BBCBengaliService​​​
টুইটার: https://twitter.com/bbcbangla

#BBCBangla #BBCBanglaNews #বিবিসি #বিবিসিবাংলা #BBCNews

*******************************************