ঝালমুড়ির স্পেশাল মসলা | শাহী মুড়ি ভর্তা, নবাবি অথবা স্কুল গেটের ঝালমুড়ি, সবকিছুর জন্যই এই মসলা

ঝালমুড়িওয়ালা দেখলেই মনটা আনচান করে ওঠে ঝালমুড়ি খাওয়ার জন্য। আর মুড়িওয়ালার কাছে গিয়ে প্রথমেই আমরা বলি, “মামা বেশী করে পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে মুড়ি মাখান তো!” ঝালমুড়ি এমন একটি খাবার যেটা খাওয়ার জন্য কোনো দিন-ক্ষণের প্রয়োজন হয় না। একটা পারফেক্ট ঝালমুড়ি তৈরী করার জন্য দরকার স্পেশাল মসলা। আর সেটা তৈরী করে ঘরে রেখে দিলে ঝালমুড়ি খাওয়া যাবে যখন মন চাইবে তখন। চলুন মসলা তৈরী করে ঝালমুড়ি মাখাতে চলে যাই!

এই সিম্পল মসলাটা দিয়ে ঝালমুড়ি মাখিয়ে বিভিন্ন খাবার যোগ করে কেউ নাম দিচ্ছে নবাবী ঝালমুড়ি, কেউ নাম দিয়েছে শাহী মুড়ি ভর্তা, আরও কত কি। বেসিকটা জানা থাকলে অন্যগুলি তৈরী করতে আপনাদের একেবারেই সমস্যা হবে না আশা করা যায়।

তৈরী করতে লাগছে -
⚪ রান্নার তেল ২ কাপ
⚪ আদা বাটা ১ চা চামুচ
⚪ রসুন বাটা ১ চা চামুচ
⚪ হলুদ/সাদা সরিষা বাটা ১ টেবিল চামুচ
⚪ কালো/লাল সরিষা বাটা ১ টেবিল চামুচ
⚪ পিঁয়াজ কুঁচি ০.৫ কাপ
⚪ শুকনো মরিচের গুঁড়ি ১ টেবিল চামুচ
⚪ হলুদের গুঁড়ি ০.২৫ চা চামুচ
⚪ ধনে গুঁড়ি ০.৫ চা চামুচ
⚪ জিরা গুঁড়ি ০.৫ চা চামুচ
⚪ লবণ ১ চা চামুচ
⚪ গরম মসলার গুঁড়ি ০.৫ চা চামুচ
⚪ তেল মসলা সহ টক আচার ১ টেবিল চামুচ

✔ মসলাটি তৈরী করার জন্য সরিষা ও অলিভ ওয়েল তেল বাদে যে কোনো রান্নার তেল নেয়া যাবে।

✔ চাইনিজ/ইন্ডিয়ান রসুন মেশিনে বাটলে অনেক সময় সবুজ হয়, আবার বেটে ফ্রিজে রাখলেও সবুজ হয়। আমি মেশিনে করি দেখে মাঝে মাঝে আমার রসুন বাটা সবুজ হয়। অনেক কায়দা করে এটাকে আবার সাদা রাখা যায়। যেহেতু রান্নায় দেয়ার পরে রঙ এর কোনো গুরুত্ব থাকছে না, তাই আমি রসুন বাটার রঙ নিয়ে কোনো মাথা ঘামাই না।

✔ মসলাটি রান্নার পরে ঠান্ডা করে রুম টেম্পারেচারে এনে বৈয়মে করে সংরক্ষণ করতে হবে। এমন বৈয়ম বা পাত্র ব্যবহার করবেন, যেটায় বাতাস ঢোকে না।

✔ কাঁচ ছাড়াও আপনারা প্লাস্টিকের বৈয়মে বা এয়ার টাইট বাক্সে মসলা করতে পারবেন, সেইক্ষেত্রে BPA Free প্লাস্টিকের বৈয়ম/বাক্স নেবেন। এই বিষয়ে দোকানদারের সাথে কথা বলে নিতে পারেন।

মসলা বেশীদিন ভালো রাখতে চাইলে এই প্রসেসগুলি ফলো করুন –